নিজস্ব প্রতিবেদন ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫০ এ.এম
বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (আরআরআই) প্রকাশিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ফিশারিজ সংশ্লিষ্ট কোনো বিভাগ অন্তর্ভুক্ত নেই বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। ফিশারিজ সংশ্লিষ্ট বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নদী ও জলজ পরিবেশের গবেষণায় আমরা সরাসরি যুক্ত থাকি। অথচ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট আমাদের বাদ দিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা অবিচার।’
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য নয়, বরং দেশের নদীভিত্তিক প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনাকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে। নদী গবেষণা ও ব্যবস্থাপনায় ফিশারিজ বিশেষজ্ঞদের গুরুত্ব অনস্বীকার্য হলেও, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ফিশারিজ ডিগ্রিধারীদের উপেক্ষা করা শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক বলে মনে করছেন তারা।
তাদের দাবি, বাংলাদেশের নদ-নদী, হাওর-বাঁওড় ও অন্যান্য জলাশয়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, মাছের প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের অবদান সুস্পষ্ট। তারপরও কেন তাদের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলো, সে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবং দ্রুত এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ফিশারিজ ডিগ্রিধারীদের যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে পুনরায় সার্কুলারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নদী গবেষণার প্রতিটি ধাপে মাৎস্যবিজ্ঞানীদের অবদান নিশ্চিত করতে হবে। যদিও এ বিষয়ে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।