নিজস্ব প্রতিবেদন ০১ ডিসেম্বার ২০২৪ ০৮:৩৯ পি.এম
আমার বয়স ১৭, আমার আব্বুর জেলে থাকার বয়সও ১৭ বলে নিজের দুঃখ প্রকাশ করেছেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে সাফাজ হুমাইরা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) গ্রেনেড হামলা মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছেন। এতে গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলমেরও মুক্তি হয়।
সাফাজ হুমাইরা বলেন, আমার বয়স যখন ৪ মাস, তখন আমি কথাও বলতে পারতাম না। আব্বুকে চিনতামও না। তখন থেকে আমার আব্বু নাই। আমি জন্মের পর থেকে বাসায় কখনো আব্বুকে দেখিনি।
খালাসের খবরে আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন একবার জেলখানায় আব্বুর সঙ্গে দেখা হয়েছে। এখন আমি ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। আজ আমি অনেক খুশি।
জাহাঙ্গীরের বোন দাবি করেন, তার ভাই ও বাবার নামের সঙ্গে অন্য আসামির নাম-পরিচয়ের মিল থাকায় তাকে ভুলভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর এক মাস গুম করে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে পাওয়া গেলেও এতদিন যাবত এ মামলা চলমান ছিল।
প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে রোববার খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে চার দিন আপিলের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।
বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
আজকের রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এটা টেকে না। যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।
এর আগে বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা শুরু হয়। ১১টা ৪৫ মিনিটে রায় পড়া শেষ হয়। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তারা এ মামলায় শুরু থেকেই আসামিপক্ষে শুনানি করেছেন। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছায়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে ১৯ আসামি খালাস পেয়েছেন
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যে ১৯ আসামি খালাস পেয়েছেন
শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর, আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি, শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের স্ত্রীকে সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা, ১১ আসামির জামিন খারিজ
রাজউকের প্লট দুর্নীতি/ শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ১৬ কোটি টাকা ফ্রিজ
রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা : ৪ আসামি ট্রাইব্যুনালে
সাবেক এমপি আফজাল ফের ৭ দিনের রিমান্ডে
ঘুষ নেওয়া এসির বাতাস খাওয়া সেই ওসি প্রত্যাহার!
অস্ত্র মামলায় ছাত্রলীগ নেতার ১৪ বছরের কারাদণ্ড
প্রতারণার আরেক মামলা ইভ্যালির রাসেল-শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
জুলাই আন্দোলনের নারীদের ভূয়সী প্রশংসা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের
সাইবার ট্রাইব্যুনালে হওয়া ৪১০টি মামলা প্রত্যাহার
পলক ফের ৪ দিনের রিমান্ডে
অবৈধ সম্পদ অর্জন স্বাস্থ্যের সাবেক গাড়িচালক মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
পদ্মা নদীর বালু লুট : আদালতের স্বপ্রণোদিত আদেশে তদন্তে পিবিআই
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত
আনিসুল-ইনু-মেনন-দীপু-সাদেক ফের রিমান্ডে
ওএমএস পণ্য জালিয়াতি : ডিলারকে এক মাসের কারাদণ্ড
Negotiable Instrument Cases: Challenges and Solutions for Bangladeshi MFIs
১৭ বছর পর কারামুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর
সংস্কার প্রতিবেদন দাখিল/সাংবিধানিক ও স্বাধীন দুদক গড়তে ৪৭ সুপারিশ
ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ
পি কে হালদারের ৫ সহযোগীর ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়কে রূপান্তরিত হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল
বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রীসহ দুইজন কারাগারে
পালিয়ে ভারত গিয়ে ধর্ষণ, আওয়ামী লীগের ৪ নেতা গ্রেপ্তার
হাইকোর্টে শমী কায়সারের জামিন আবেদন
আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
পিরোজপুরে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার
মুন্নী সাহার স্থগিত ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৪ কোটি টাকা