নিজস্ব প্রতিবেদন ১১ ডিসেম্বার ২০২৪ ০৪:৩৫ পি.এম
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা উচিত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো এবং নামাজের জামাত দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনো কারণে যদি কেউ সময় মতো নামাজ পড়তে না পারে তাহলে তার জন্য কাজা নামাজ পড়তে হবে।
কাজা নামাজ একাই পড়া যায়। একসঙ্গে অনেকের নামাজ কাজা হলে তারা চাইলে জামাতের সঙ্গে কাজা নামাজ আদায় করে নিতে পারবেন। কাজা নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের ক্ষেত্রে জোরে কিরাত পড়া যাবে কি না তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ থাকে। যেমন একজন প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন—
গত কয়েকদিন আগে আমাদের সবার ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায়। পরে আমরা জামাতের সাথে ফজরের নামাজের কাজা আদায় করি। এবং নামাজে কেরাত জোরে পড়ি। পরে মনের মধ্যে খটকা লাগল যে, নামাজে কেরাত জোরে পড়া ঠিক হল কি না? বিষয়টির সঠিক সমাধান জানাবেন।
এই ক্ষেত্রে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো— প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সশব্দে কেরাত পড়া নিয়মসম্মতই হয়েছে। কেননা ফজর, মাগরিব ও এশার নামাযের কাজা জামাতে আদায় করলে কেরাত শব্দ করে পড়াই আবশ্যক। তা দিনের বেলায় আদায় করলেও কেরাত শব্দ করেই পড়তে হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে—
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: عَرَّسَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً فَقَالَ: مَنْ يَحْرُسُنَا اللَّيْلَةَ؟ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ شَابٌّ: أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ أَحْرُسُكُمْ، فَحَرَسَهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ مَعَ الصُّبْحِ غَلَبَتْهُ عَيْنُهُ، فَمَا اسْتَيْقَظُوا إِلَّا بِحَرِّ الشَّمْسِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَوَضَّأَ وَتَوَضَّأَ أَصْحَابُهُ، وَأَمَرَ الْمُؤَذِّنَ فَأَذَّنَ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَصَلَّى الْفَجْرَ بِأَصْحَابِهِ، وَجَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ كَمَا كَانَ يُصَلِّي بِهَا فِي وَقْتِهَا.
অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও কয়েকজন সাহাবি সফরে ছিলেন। অধিক রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ায় তাঁদের ঘুম থেকে জাগতে দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে সূর্যোদয় হয়ে যায়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামায কাযা করেন। এবং অন্য সময়ের মতো শব্দ করে কেরাত পড়েন। (কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা ১৬৮)
—(আলজামিউস সাগীর, পৃ. ৭২; ফাতহুল কাদীর ১/২৮৫;ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৬৬, ১২১)
হজরত ওমরের কথার পর যেসব আয়াত নাজিল হয়েছিল
বায়তুল মুকাদ্দাসের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন যে নবীর মা
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য যেসব আমল করতে পারেন
জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের দোয়া
যে ধরনের অক্ষমতায় রোজার পরিবর্তে ফিদইয়া দেওয়া যায়
রোজা রেখে মিথ্যা বললে যে ক্ষতি হবে
রমজানে দুর্ব্যবহার মুক্ত থাকতে হাদিসে যা বলা হয়েছে
রমজানের ফজিলত ও বরকত নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে
মৃত্যুর পর শিশুরা কি জান্নাতে যায়?
সারাদিন শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া
যে নফল নামাজগুলো আল্লাহর প্রিয়
তিন তাসবিহ কী? পড়লে যে ফজিলত
জান্নাত ও জাহান্নাম দেখার পর মানুষের যে অনুভূতি হবে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও বাড়লো
শাম অঞ্চলে সংঘটিত মুতার যুদ্ধে যে সাহাবিরা শহিদ হয়েছেন
শাম অঞ্চলে রাসূল (সা.) এর যুগে যে দুই যুদ্ধ হয়েছিল
কাজা নামাজ পড়ার সময় কিরাত জোরে পড়া যাবে?
সিরিয়ায় মুসলমানদের বিজয় পতাকা উড়েছিল যেভাবে
ফরজ গোসল দেরিতে করা কি ঠিক?
যে তাকবির ধ্বনিতে আনন্দ প্রকাশ করছেন সিরিয়ানরা
আল্লাহর প্রশংসামূলক বিশেষ কিছু বাক্য
দেনমোহর নির্ধারণ না করেই স্বামী মারা গেলে করণীয়
নারীদের আতর-সুগন্ধি ব্যবহার নিয়ে ইসলাম যা বলে
নামাজের পর মসজিদ বন্ধ রাখা কি ঠিক?
পবিত্র কাবা ঘরের ভেতর দেখতে কেমন? কী আছে সেখানে?
শুকনো কাপড়ে অপবিত্র ভেজা কাপড় লাগলে করণীয়
বিজয় আমাদেরই হবে ইনশাআল্লাহ: আজহারী
সম্পদ ও জ্ঞানের সঠিক ব্যবহারকারী সম্পর্কে যা বলেছেন প্রিয়নবী সা.
পাপী বান্দা তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন
জান্নাতে গিয়েও মানুষ যে কারণে আফসোস করবে