নিজস্ব প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:১৩ পি.এম
মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা প্রতি যুগেই নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। তারা সবাই মানুষকে এক আল্লাহর ইবাদত করার আহ্বান জানিয়েছেন। হজরত আদম, নূহ, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম প্রত্যেকেই তার উম্মতকে তাগুত ও শিরক থেকে সাবধান করে গেছেন। তারা মানুষকেকে আল্লাহ ছাড়া অন্য সব উপাসক পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তাদের কেউই নিজেকে বা অপর কোনো সৃষ্টিকে ইলাহ বলে ঘোষণা দেননি। সবাই মানুষকে দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর শেখানো পথে চলতে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবনযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। যে বিশ্বাস, কর্ম বা আচরণ মানুষের অকল্যাণ করে বা আল্লাহর নৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
সব নবী-রাসূলের মূল দাওয়াত বা আহ্বান ছিল এক, সবাই মানুষকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী হওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন, তবে তাদের শরীয়াত বা বিধানাবলী ছিল যুগ ও সমাজ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন। আল্লাহর পথে নবীদের আহ্বানের এই অভিন্নতা নিয়ে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে-
وَ مَا نُرۡسِلُ الۡمُرۡسَلِیۡنَ اِلَّا مُبَشِّرِیۡنَ وَ مُنۡذِرِیۡنَ ۚ فَمَنۡ اٰمَنَ وَ اَصۡلَحَ فَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۴۸﴾و ما نرسل المرسلین الا مبشرین و منذرین ۚ فمن امن و اصلح فلا خوف علیهم و لا هم یحزنون
আর আমি রাসূলদেরকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করি। অতএব যারা ঈমান এনেছে ও শুধরে নিয়েছে, তাদের উপর কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত হবে না। ( সূরা আনআম, (৬), আয়াত : ৪৮)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন,
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا نُوۡحِیۡۤ اِلَیۡهِ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدُوۡنِ ﴿۲۵﴾و ما ارسلنا من قبلک من رسول الا نوحی الیه انهٗ لا اله الا انا فاعبدون
আর তোমার পূর্বে এমন কোন রাসূল আমি পাঠাইনি যার প্রতি আমি এই ওহী নাযিল করিনি যে, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং তোমরা আমার ইবাদত কর।’ (সূরা আম্বিয়া, (২১) আয়াত : ২৫)
নবী-রাসূলদের জীবনী আমাদের জন্য অনুসরণীয় এবং পালনীয়। এখানে এমন চারটি সুন্নত তুলে ধরা হলো, যা প্রত্যেক নবীর সুন্নত। সব নবীর মাঝেই এই বিষয়গুলো ছিল। এমন চারটি সুন্নত হলো— ১. লজ্জা-শরম। ২. সুগন্ধি ব্যবহার। ৩. মিসওয়াক করা। ৪. বিয়ে করা।
এ বিষয়ে এক হাদিসে হজরত আবূ আইয়ুব আল-আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—
চারটি জিনিস নবীদের চিরাচরিত সুন্নত। ১. লজ্জা-শরম। ২. সুগন্ধি ব্যবহার। ৩. মিসওয়াক করা। ৪. বিয়ে করা। (জামে আত-তিরমিজি, হাদিস : ১০৮০)
নবীদের সুন্নত যে চারটি কাজ
হজরত ওমরের কথার পর যেসব আয়াত নাজিল হয়েছিল
বায়তুল মুকাদ্দাসের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন যে নবীর মা
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য যেসব আমল করতে পারেন
জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের দোয়া
যে ধরনের অক্ষমতায় রোজার পরিবর্তে ফিদইয়া দেওয়া যায়
রোজা রেখে মিথ্যা বললে যে ক্ষতি হবে
রমজানে দুর্ব্যবহার মুক্ত থাকতে হাদিসে যা বলা হয়েছে
রমজানের ফজিলত ও বরকত নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে
মৃত্যুর পর শিশুরা কি জান্নাতে যায়?
সারাদিন শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া
যে নফল নামাজগুলো আল্লাহর প্রিয়
তিন তাসবিহ কী? পড়লে যে ফজিলত
জান্নাত ও জাহান্নাম দেখার পর মানুষের যে অনুভূতি হবে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও বাড়লো
শাম অঞ্চলে সংঘটিত মুতার যুদ্ধে যে সাহাবিরা শহিদ হয়েছেন
শাম অঞ্চলে রাসূল (সা.) এর যুগে যে দুই যুদ্ধ হয়েছিল
কাজা নামাজ পড়ার সময় কিরাত জোরে পড়া যাবে?
সিরিয়ায় মুসলমানদের বিজয় পতাকা উড়েছিল যেভাবে
ফরজ গোসল দেরিতে করা কি ঠিক?
যে তাকবির ধ্বনিতে আনন্দ প্রকাশ করছেন সিরিয়ানরা
আল্লাহর প্রশংসামূলক বিশেষ কিছু বাক্য
দেনমোহর নির্ধারণ না করেই স্বামী মারা গেলে করণীয়
নারীদের আতর-সুগন্ধি ব্যবহার নিয়ে ইসলাম যা বলে
নামাজের পর মসজিদ বন্ধ রাখা কি ঠিক?
পবিত্র কাবা ঘরের ভেতর দেখতে কেমন? কী আছে সেখানে?
শুকনো কাপড়ে অপবিত্র ভেজা কাপড় লাগলে করণীয়
বিজয় আমাদেরই হবে ইনশাআল্লাহ: আজহারী
সম্পদ ও জ্ঞানের সঠিক ব্যবহারকারী সম্পর্কে যা বলেছেন প্রিয়নবী সা.
পাপী বান্দা তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন