রবিবার ০১ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
রাজনীতি

বিচার বিভাগকে দালালির চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদন ২৬ সেপ্টেম্বার ২০২৪ ১০:২২ পি.এম

বিচার বিভাগকে দালালির চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল: জামায়াত আমির ছবি: সংগৃহীত

আইনের কথা বলে বিচারবিভাগকে দালালির চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সাবেক বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এটা কোর্ট (আদালত), এটা তো টেনিস কোর্ট না যে জাতিকে নিয়ে খেলবেন। এখানে তো আইন অনুযায়ী চলবে। কিন্তু আইনকেও দালালির চরম সীমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, বারে বসে রাজনীতি করলে আপনাকে(প্রধান বিচারপতি) কেউ নিষেধ করত না। কিন্তু বেঞ্চে বসে আপনি রাজনীতি করার অধিকার রাখেন না। কেউ তো তা মানবে না। ওই কথা বলার পর আসলে তার এক সেকেন্ডের জন্য আসনে বসে থাকার আইনগত বৈধতা-নৈতিকতা সেই বিচারপতির ছিল না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ব্যাংকের সর্বোচ্চ অভিভাবককে বলতে শুনি, যে কোনো সময় কয়েকটা ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কাদের কারণে, এরা প্রত্যেকে শাড়ির নিচে লুকানো ছিল। এদেরকে ইমিউনিটি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় ডাকাতের ওপরে সুপ্রিম কোর্ট কী করে বলতে পারে যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা চলবে না?

তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার লজ্জা হয়, কোনো রাজনৈতিক নেতা পালিয়ে গেছেন এটা বলতে আমার লজ্জা হয়। যারা জনগণের খেদমতের বদলে মালিক বনে গিয়েছিলেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আস্থার পক্ষে। তারা যদি ব্যর্থ হন এ দায় তাদেরকেও বহন করতে হবে। তারা সফল হলে বিপ্লব সফল হবে। আর তারা ভুল করলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। তারা ব্যর্থ হোক আমরা তা চাই না।

আইনজীবীদের যোদ্ধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায়বিচার আগে। ন্যায়বিচার সবার প্রাপ্য। এই যে গণহত্যা হয়ে গেল। এই গণহত্যায় যারা মাস্টারমাইন্ড, যাদের ওপরে গণহত্যার দায় পড়ে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। 

সাংবাদিকদের ওপরেও নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কিংবা বিদেশে সবার শান্তি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশের বাইরে থেকে সাংবাদিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। তার দেশে থাকা পরিবারকে হেনস্তা করা হয়েছে। মা-বোনকে পর্যন্ত রেহাই দেওয়া হয়নি। তাদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করা হয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সবসময় শুনতাম বিচার বিভাগ স্বাধীন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, আইন সবার জন্য সমান। এখন সত্যি আইন সবার জন্য সমান হবে। আইন সবার জন্য কেমন সমান তা এখন সবাই বুঝবেন। বুঝে নেবেন। আমরা জুলুমের বিরুদ্ধে। 


এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে একক দলের ভাবা উচিত নয়’

news image

ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর খবরটি ভুয়া: সাধারণ সম্পাদক নাছির

news image

ড. ইউনূস জাপানে বসে বিএনপি সম্পর্কে বদনাম করছেন: মির্জা আব্বাস

news image

আ. লীগকে বাংলাদেশে কখনো রাজনীতি করতে দেয়া হবে না: আমান

news image

শৃঙ্খলা পরিপন্থি কেউ কিছু করলে সংগঠন কোনো দায় নেবে না: জামায়াত আমির

news image

দেশে আসো না কেন বেপ্লবি ভিউ ব্যবসায়ী বাটপাররা: নুর

news image

কোনো দেশেই সংস্কারের নামে সবকিছু থেমে যায় না : ফখরুল

news image

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে : তারেক রহমান

news image

মেট্রো স্টেশনে জাল নোট দিয়ে টিকিট কেনার চেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

news image

আমি এখন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক: এটিএম আজহার

news image

নয়াপল্টনে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ দুপুরে

news image

কারামুক্ত হলেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম

news image

সবার কাছে বিনা শর্তে মাফ চাইলেন জামায়াত আমির

news image

প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে নির্বাচন রোডম্যাপ না থাকায় হতাশ বিএনপি

news image

বিএনপি গণতন্ত্রের লড়াইয়ে রয়েছে : গয়েশ্বর

news image

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের যুক্তি তুলে ধরতে তারেক রহমানের নির্দেশনা

news image

এক বাথরুমে স্ত্রীসহ ৫ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের

news image

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে রাজনৈতিক সংকট বাড়বে: ওয়াকার্স পার্টি

news image

মুফতি আমীর হামজাকে সংসদ সদস্য প্রার্থী ঘোষণা করল জামায়াত

news image

মেয়র হিসেবে শপথ নিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন ইশরাক

news image

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য ও ডাকাতি মামলা

news image

আ.লীগ আমলের সব নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার দাবি এনসিপির

news image

সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি

news image

উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই : নাহিদ

news image

ড. ইউনূস থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে জনগণ: সালাহউদ্দিন আহমেদ

news image

আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে: নাহিদ

news image

দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি: আমিনুল হক

news image

আমি বিএনপির প্রার্থী হওয়ায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছি: ইশরাক

news image

রাস্তা ছাড়বেন না, আরও বিস্তৃত করতে হবে: ইশরাক

news image

জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার আর বাকি ২১ কর্মদিবস: হাসনাত