নিজস্ব প্রতিবেদন ৩০ সেপ্টেম্বার ২০২৪ ০২:১২ পি.এম
বাংলাদেশকে ষড়্ঋতুর দেশ বলা হলেও আপাতত বাস্তবে দুটি ঋতু লক্ষ করা হয়। শীত ও গ্রীষ্মকাল। পবিত্র কুরআন মাজিদেও আল্লাহ তায়ালা শুধু দুটো ঋতুর কথা উল্লেখ করেছেন। তা হলো—শীত ও গ্রীষ্মকাল। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তাদের (কুরাইশ বংশের লোকদের) অভ্যাস ছিল শীত ও গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ’ (সূরা আল-কুরাইশ-০২)
শীতকাল দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ভীষণ কষ্টের। খাবারের চেয়েও তাদের শীত নিবারণ অতীব প্রয়োজন হয়ে পড়ে। শৈত্যপ্রবাহের কষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার ন্যূনতম ব্যবস্থাপনাও তাদের থাকে না। ফলে অসহায় ও হতদরিদ্রদের কষ্ট কেবল বেড়েই যায়। এছাড়াও শীতজনিত কারণে ছড়িয়ে পড়ছে নানা অসুখবিসুখ। বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কোল্ড ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ফুটপাত এবং খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারীদের কষ্টের সীমা থাকে না। তাই শীতার্ত হতদরিদ্র মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালী ব্যক্তিদের সাহায্য ও সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করা ও তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র বিতরণ করে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো ইমানি দায়িত্ব।
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, নামাজ, রোজার সঙ্গে জনকল্যাণের তথা মানবিকতা ও নৈতিকতার গুণাবলি অর্জন করাও জরুরি। পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফেরানোতে কোনো পুণ্য নেই, কিন্তু পুণ্য আছে কেউ আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতাগণ, সব কিতাব ও নবির প্রতি ইমান আনয়ন করলে এবং আল্লাহ-প্রেমে আত্মীয়স্বজন, এতিম, মিসকিন, পর্যটক, সাহায্য প্রার্থীদের ও দাস মুক্তির জন্য অর্থ দান করলে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করলে, জাকাত দিলে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করলে; অর্থসংকটে, দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে। এরাই তারা, যারা সত্যপরায়ণ এবং তারাই মুত্তাকি।’ (সুরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৭৭)
নবি করিম (স.) মানুষকে অন্ন ও বস্ত্রদানে পরকালীন পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা বলেছেন, ‘এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে কাপড় দান করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের পোশাক দান করবেন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাদ্য দান করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সুস্বাদু ফল দান করবেন। কোনো মুসলমানকে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি পান করালে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সিলমোহরকৃত পাত্র থেকে পবিত্র পানি পান করাবেন।’ (আবু দাউদ) নবি করিম (স.) অসহায় মানুষকে সাহায্যের কথা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব একটি মুসিবত দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার মুসিবতগুলো দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষকে সচ্ছল করে দেবে, আল্লাহ তাকে ইহকাল ও পরকালে সচ্ছল করে দেবেন এবং আল্লাহ বান্দাকে সাহায্য করবেন, যদি বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করে।’ (মুসলিম)
এছাড়া হাদিস শরিফে আরো উল্লেখ আছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়ায় মানুষকে খাদ্য দান করেছে, সেদিন (রোজ কিয়ামতের দিন) তাকে খাদ্য দান করা হবে। যে আল্লাহকে খুশি করার জন্য মানুষকে পানি পান করিয়েছে, তাকে সেদিন পানি পান করিয়ে তার পিপাসা দূর করা হবে। যে মানুষকে বস্ত্র দান করেছে, তাকে সেদিন বস্ত্র পরিধান করিয়ে তার লজ্জা নিবারণ করা হবে।’ অতএব, শুধু মিডিয়া কাভারেজ কিংবা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নয়, সত্যিকারার্থে আল্লাহকে খুশি করার জন্য আমাদের উচিত শীতার্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করা।
হজরত ওমরের কথার পর যেসব আয়াত নাজিল হয়েছিল
বায়তুল মুকাদ্দাসের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন যে নবীর মা
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য যেসব আমল করতে পারেন
জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের দোয়া
যে ধরনের অক্ষমতায় রোজার পরিবর্তে ফিদইয়া দেওয়া যায়
রোজা রেখে মিথ্যা বললে যে ক্ষতি হবে
রমজানে দুর্ব্যবহার মুক্ত থাকতে হাদিসে যা বলা হয়েছে
রমজানের ফজিলত ও বরকত নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে
মৃত্যুর পর শিশুরা কি জান্নাতে যায়?
সারাদিন শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া
যে নফল নামাজগুলো আল্লাহর প্রিয়
তিন তাসবিহ কী? পড়লে যে ফজিলত
জান্নাত ও জাহান্নাম দেখার পর মানুষের যে অনুভূতি হবে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও বাড়লো
শাম অঞ্চলে সংঘটিত মুতার যুদ্ধে যে সাহাবিরা শহিদ হয়েছেন
শাম অঞ্চলে রাসূল (সা.) এর যুগে যে দুই যুদ্ধ হয়েছিল
কাজা নামাজ পড়ার সময় কিরাত জোরে পড়া যাবে?
সিরিয়ায় মুসলমানদের বিজয় পতাকা উড়েছিল যেভাবে
ফরজ গোসল দেরিতে করা কি ঠিক?
যে তাকবির ধ্বনিতে আনন্দ প্রকাশ করছেন সিরিয়ানরা
আল্লাহর প্রশংসামূলক বিশেষ কিছু বাক্য
দেনমোহর নির্ধারণ না করেই স্বামী মারা গেলে করণীয়
নারীদের আতর-সুগন্ধি ব্যবহার নিয়ে ইসলাম যা বলে
নামাজের পর মসজিদ বন্ধ রাখা কি ঠিক?
পবিত্র কাবা ঘরের ভেতর দেখতে কেমন? কী আছে সেখানে?
শুকনো কাপড়ে অপবিত্র ভেজা কাপড় লাগলে করণীয়
বিজয় আমাদেরই হবে ইনশাআল্লাহ: আজহারী
সম্পদ ও জ্ঞানের সঠিক ব্যবহারকারী সম্পর্কে যা বলেছেন প্রিয়নবী সা.
পাপী বান্দা তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন
জান্নাতে গিয়েও মানুষ যে কারণে আফসোস করবে