নিজস্ব প্রতিবেদন ২৭ নভেম্বার ২০২৪ ১১:২৯ এ.এম
পাসপোর্ট করা হয়েছে। কাগজপত্রও প্রায় প্রস্তুত। উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান যাওয়ার কথা ছিল শোভনের। কিন্তু তার আর জাপান যাওয়া হলো না। ছেলেটার ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শেষে চাকরি করে পরিবারের অভাব-অনটন দূর করার। তার আগেই শোভনকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হলো।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম ছোট মসজিদ এলাকার ৩নং রোডের ভাড়া বাসায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান শোভনের মা শাহনাজ বেগম। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন কলেজ ছাত্র শহিদুল ইসলাম শোভন (১৯)।
শাহনাজ বেগম বলেন, সেদিন ছিল ১৯ জুলাই শুক্রবার। শোভন দুপুরে জুমার নামাজ পড়ে এসে বিরিয়ানি খাচ্ছিল। ওর বন্ধুরা তখন বারবার ফোন দিচ্ছিল সবাই মিলে আন্দোলনে যাবে। ছেলেটা আমার তাড়াহুড়া করে খেয়ে চলে গেল। আমি কি জানতাম ওটাই আমার ছেলের শেষ খাওয়া, এটাই তার সঙ্গে আমার শেষ দেখা?
শহিদুল ইসলাম শোভন গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন। ২০ জুলাই শনিবার বিকেলে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় হাফিজি হুজুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ২০০৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণকারী শোভন এ বছর শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
গেলাম হাসপাতালে। দেখলাম জরুরি বিভাগের এক পাশে একটা ট্রলিতে আমার ছেলেটা পড়ে আছে। কয়েকটা ছেলে ওর পাশে দাঁড়ানো। শোভনের কাছে দৌড়ে গেলাম। আমার ছেলের দেহ নিথর। কত্ত ঝাঁকুনি দিলাম, কতবার ডাকলাম, ছেলে কিছু বলে না। একটা কথাও বললো না।
তিনি বলেন, ছেলে আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে মারা যাওয়ায় ভয় হচ্ছিল, যদি পুলিশ লাশ নিয়ে যায়। যদি আমাদের অ্যারেস্ট করে! তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাড়াহুড়া করে আমার ভাইদের আর ওর বন্ধুদের সহয়তায় কোনোমতে জোর করেই হাসপাতাল থেকে ছেলেকে নিয়ে আসলাম।
ছেলের স্মৃতিচারণ করে শোভনের মা বলেন, কয়েক বছর আগের এক ২১ ফেব্রুয়ারি। শোভন তখন ক্লাস সেভেনে বা এইটে পড়ে। সেদিন শোভন একটা পোস্টার বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। ওই পোস্টারটিতে ছিল পাঁচজন ভাষা শহীদ : সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার-এর ছবি, শহীদ মিনারের আঁকা একটা ছবি আর ছিল শোভনের নিজের ছবি। সময়ের পরিক্রমায় সেই পোস্টারের সব চরিত্র আজ এক, তারা সবাই শহীদ। দেশের জন্য সবাই রাজপথে জীবন দিয়েছে। সৃষ্টিকর্তা শোভনের শাহাদাত নির্ধারিত করে রেখেছিলেন বলেই কি ওই পোস্টারের সব চরিত্র এক হয়ে গেল!
কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, আমরা তো জানতাম না আমার ছেলের দেশের প্রতি এই রকম ভালোবাসা ছিল। ও যে নিজেই দেশের জন্য পোস্টারের আরেকজন শহীদ হয়ে গেল! শোভন মারা যাওয়ার পর ওর ফেসবুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে আমরা এ পোস্টারটি দেখি, তবে কি শোভন এমনভাবেই শহীদ হতে চেয়েছিল কিংবা সৃষ্টিকর্তা শোভনের ভাগ্যে আগেই শাহাদাত লিখে রেখেছিল?
শোভনের নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করতে সরকারের প্রতি দাবি রেখে মা শাহানাজ বেগম বলেন, যেখানেই হোক (ঢাকা অথবা মুন্সীগঞ্জ) ওর নামে যেন একটা মসজিদ নির্মাণ করা হয়। যেখানে সবাই নামাজ পড়ে আমার ছেলেসহ সব শহীদের জন্য দোয়া করবে।
নিহতদের শহীদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তাদের সবাইকে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে। শুধু মুখে মুখে শহীদ বললেই হবে না। এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে। এরা তো দেশের জন্যই জীবন দিয়েছে।
বোরহানউদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন বলেন, শোভন খুব সাহসী ছিল। সে আমাদের জাতীয় বীর। শোভনের মতো তরুণদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই এ দেশের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। আমরা এ জাতীয় বীরদের অবদান ভুলব না। শোভনের স্মরণে চাঁনখার পুল চত্বরকে ‘শোভন চত্বর’ নামকরণ করা হয়েছে। শোভন সবার জন্য এক অনুকরণীয় চরিত্র।
আদালতের হাজতখানায় মারধরের শিকার আ’লীগ নেতা
বই দেখে পরীক্ষা দিলো শিক্ষার্থীরা, ভিডিও ভাইরাল
টিকটকার হুর-ই জান্নাতের স্বামী তোহা কারাগারে
সাড়ে ৮০০ টাকার জন্য প্রাণ গেল মুদি দোকানির
যুবদল নেতার উপর হামলা, শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল
টেন্ডার পাওয়ায় বৈষম্যবিরোধী নেতার কাছে ‘জিলাপি’ খেতে চাইলেন ওসি
বাঙালি বিয়ে খেতে পাবনায় রুশ তরুণী
আ.লীগ-জামায়াত নেতার হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত
সুদের টাকার জন্য নারীকে মারধর, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা
ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
তরমুজ সাদা হওয়ায় বিক্রেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম
এসএসসির হলে ঢুকে ছাত্রীদের পানি পান করানোয় ছাত্রদল নেতার সমালোচনা
এসএসসির হলে ঢুকে ছাত্রীদের পানি পান করানোয় ছাত্রদল নেতার সমালোচনা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
নড়াইলে আ.লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে
পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে বাবার খাটিয়া কাঁধে নিল নাহিদ
ভালোবাসার টানে ২৪ বছর পর আবারও বরগুনায় ডেনমার্কের রোমানা
জয়পুরহাটে কারাগারে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিলো এক শিক্ষার্থী
ক্রেতা সেজে নারী মাদক কারবারিকে ধরল পুলিশ
‘আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরায় দেন, তারে দেশে নিয়া আসেন’
মক্তবে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, ভয়ে বাড়ি ছাড়া ভুক্তভোগীর পরিবার
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার ‘মিথ্যা’ স্বাক্ষী গ্রেপ্তার
ভালুকের শরীরে পচন, আ. লীগ নেতার সেই চিড়িয়াখানা সিলগালা
জামিনে কারামুক্ত হওয়া সাবেক এমপি আজিজকে গণধোলাই
লুটের জুতা বিক্রির জন্য ফেসবুকে পোস্ট
খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ইমাম গ্রেপ্তার
সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ঘুরিয়ে বলল পুলিশ, অপরাধীদের পরিণতি হবে এমন
বাটা শোরুমসহ দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
ছাত্র প্রতিনিধিদের এখন সরকার থেকে পদত্যাগ করা দরকার : ভিপি নুর
থানায় জিডি করতে ৩ প্যাকেট সিগারেটের দাম নিলেন এএসআই